রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

Ramer Sumoti - Sarat Chandra Chattopadhyay । কখনো কখনো সম্পর্ক মাতৃত্বকেও হার মানায় ! বই রিভিউ -২০২১

 রামের সুমতি বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত গল্প।গল্পটি ১৯১৪ সালে প্রকাশিত হয়। এতে গল্পকার মানুষের সাথে মানুষের আত্মিক সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরেছেন।

এখন রামের সুমতি গল্পের রিভিউতে আসা যাক।



রামলাল গ্রামের এক দুরন্ত কিশোর। সব ব্যাপারেই তার দুস্টুবুদ্ধির কারণে গ্রামের সবাই ভীত থাকে। এমনকি তার দুরন্তপনার সংবাদ আশেপাশের গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। তার দুরন্তপনার একান্ত সহযোগী ভৃত্য ভোলা। অপরদিকে তার বৈমাত্রেয় বড় ভাই শ্যামলাল শান্ত প্রকৃতির। সে গ্রামের কাছারীতে কাজ করে ও পৈতৃক সম্পত্তি দেখাশুনা করে। তার স্ত্রী নারায়ণী যে বছর ঘরে আসে তখন রামের মা আড়াই বছরের রামকে তার হাতে দিয়ে মারা যান। সেই থেকে নারায়ণী রামকে কোলে পিঠে মানুষ করেছে। তাই রামের দুরন্তপনা ও বদমেজাজ ভৃত্য ভোলা, নৃত্যকালী এমনকি বড় ভাই শ্যামলালের উপর খাটালেও বউদিকে সে মান্য করে। বউদির জ্বর ভালো

বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১

বিলাসী-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (Bilashi-Sarat chandra chattopadhyay ) বই সারাংশ

 

বিলাসী অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি ছোটগল্প।

গল্পটি বলা হয়েছে 'ন্যাড়া'র জবানবন্দিতে। ন্যাড়ার সাথে পড়ত মৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যুঞ্জয়কে আজীবন সবাই থার্ড ক্লাসে পড়তে দেখেছে। তাকে কেউ সেকেন্ড ক্লাসে উঠতে দেখে নি। তার ফোর্থ ক্লাসে পড়ার ইতিহাসও জানা যায় না। তার আপন বলতে কেউ ছিল না, শুধু এক খুড়ো ছাড়া। খুড়োর কাজ ছিল ভাইপোর বিরুদ্ধে হরেক রকম দুর্নাম রটানো।



মৃত্যুঞ্জয় নিজে রান্না করে খেত। তার বাড়ি সংলগ্ন আমবাগান থেকে আয়কৃত অর্থে দিন গুজরান হত তার।

গ্রামের ভিতরে মৃত্যুঞ্জয়ের নামে হরেক রকম দুর্নাম শোনা গেলেও, সে ছিল দিলদরিয়া। সে দোকান থেকে এটা ওটা কিনে খাওয়াত সবাইকে। দরিদ্রকে সাহায্য করত সে। কিন্তু,

বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০২১

The Art of Happiness 😇 by Dalai Lama & Howard Cutler । Book Review in Bangla । বাংলা রিভিউ

 

নমষ্কার এবং সালাম, আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমরা সবসময়ই চাই যে কিভাবে, ঠিক কিভাবে আমরা আমাদের জীবনে সুখ পেতে পারি কিংবা আমরা আমাদের লাইফে সবসময়ই হন্য হয়ে সুখের সন্ধান করতে থাকি।

অথবা আমরা নিজেকে প্রশ্ন করি যে, কিভাবে আমি সুখী মানুষ হতে পারি।


এমন এটাও হয়তো কখনো কখনো ভাবি যে কিভাবে সুখ খুঁজে পাবো এটা নিয়ে যদি কোন বই থাকতো তবে অসাধারণ হতো।

যদি আমার এতক্ষণ বলা এই ধারণাগুলো সঠিক হয়ে থাকে তবে আমি বলবো আপনি সঠিক একটা ভিডিও দেখতে আসছেন। আজকে আমার হাতে যে বইটি রয়েছে সে বইটি হলো দ্যা আর্ট অব হ্যাপিনেস।বইটি লিখেছেন তিব্বতের আধ্যাত্নিক প্রধান ১৪তম দালাই লামা ,যার প্রধান নাম হচ্ছে তেনজ়িন গিয়াৎসো এবং

শুক্রবার, ১৯ মার্চ, ২০২১

প্রোডাক্টিভ মুসলিম-মুহাম্মদ ফারিস । ইসলামিক বই রিভিউ (বিস্তারিত রিভিউ পড়ুন) Productive Muslim Book Review in Bangla

 ধরুন আপনি আর মাত্র ৩ বছর বেঁচে থাকবেন। কিন্তু আপনি যদি এমন কিছু কাজ করেন যা অন্যের ২০ বছরের কাজের সমান তবে এই বৃদ্ধি পাওয়া কাজই আপনার ৩ বছরের বেঁচে থাকার তুলনায় ‘বারাকাহ’।ছোট্ট কাজ বা প্রচেষ্টায় অপ্রত্যাশিত অধিক পাওয়াকেই বারাকাহ বলে।

আজকে আমি কথা বলবো,আমার হাতে থাকা বিদেশী বই প্রোডাক্টিভ মুসলিম নিয়ে।যে বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১৬ সালে, আর আমার কাছে যে গ্রন্থটি আছে সেটি ওই বইয়ের অনুবাদ।বইটি লিখেছেন-মোহাম্মদ ফারিস। এই লেখক মোহাম্মদ ফারিস পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মুসলিম আত্নোন্নয়নমূলক ওয়েবসাইট Productivemuslim.com এর প্রতিষ্ঠাতা।



বইটিতে রয়েছে মোট ৯টি অধ্যায়।বইটি পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন একজন মুসলিম হিসেবে আপনার লাইফস্টাইল টা কেমন হবে,কেমন যাচ্ছে কিংবা আপনার জীবনযাপনে কোন পরিবর্তনগুলো আনার এখনই সঠিক সময়।

আমরাজানি, প্রোডাকটিভিটি=আউটপুট/ইনপুট। লেখক এখানে দেখিয়েছেন মনোযোগ বা ফোকাস এবং শারীরিক কার্যক্ষমতা এবং লাভজনক উদ্দেশ্যে ব্যায় করা সময় মিলেই হচ্ছে প্রোডাকটিভিটি।এই বইটিতে আত্ন উন্নয়ন,আত্ন বিকাশ, আত্নোপব্ধির এক সুনিপন কম্বিনেশন তুলে ধরা হয়েছে। মেধা,সময় এবং বোধ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে নিজেকে কিভাবে এই নশ্বর পৃথিবীতে অধিষ্টিত করা যায় তা

সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০২১

বিন্দুর ছেলে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর ছোট গল্প/উপন্যাস (বই রিভিউ)

 "বিন্দুর ছেলে" অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি ছোটগল্প । গল্পটি ১৯১৩ সালে রচিত। একান্নবর্তী কিংবা যৌথ পরিবারের পারিবারিক সম্প্রীতি, টানাপোড়নসহ নানা চড়াই-উৎরাই সুন্দরভাবে গল্পেটিতে তুলে ধরা হয়েছে। এই গল্পটা যৌথ থেকে একক পরিবারে রূপান্তরিত হওয়ার মধ্যবর্তী সময়কার একটা ক্রাইসিস মুহূর্ত নিয়ে লিখা।

প্রায় দুই দশক আগে ঠিক আমাদের পরিবারটাও এই গল্পের মতো একটা যৌথ পরিবারে হাসি কান্না, মায়া মমতায় টইটম্বুর ছিল। যদিও এখনকার প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন একক পরিবারের জয়জয়কার অবস্থা।এই গল্পের মূল চরিত্র বিন্দু এবং তার ছেলে অমূল্য।


গল্পটি শুরু হয়  যাদব ও মাধব নামের দুই ভাই এবং যাদবের স্ত্রী অন্নপূর্ণাকে নিয়ে।যদিও যাদব ও মাধব তারা সহোদর না।তবে তাদের সম্পর্কটি এতটাই গভীর যে এটা সবাই ভুলেই যায়।দরিদ্র যাদব ও তার স্ত্রী অন্নপূর্ণা অনেক কষ্ট করে মাধবকে পড়াশোনা করিয়ে ওকালতি পাস করায় এবং বিন্দুবাসিনী এর সাথে বিয়ে দেয়।এই বিন্দুবাসিনী চরিত্রকে এখানে সংক্ষেপে বিন্দু বলা হয়েছে।

এই বিন্দু ছিলো রূপবতী, রূপের সাথে ছিল অহংকার ও অভিমান।ফলে তাকে কিছু

শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১

সেল মি দিস পেন-রাসেল এ কাউসার(বিশদ বই রিভিউ)

 

আপনার মেমোরিও যদি আমার মত শর্ট টাইম হয় তাহলে চলুন শ্যালো থেকে ডীপ লার্ণিং এর গল্প শোনাই। গত ৩মাসে আপনি ঠিক কি কি শিখেছেন? নিশ্চয়ই একেবারে কোন কিছু না শিখে তো আর বসে থাকেন নি।তো আপনি যেই যেই জিনিসগুলো শিখেছেন সেটা এখন এখন এই মুহূর্তে কিংবা আগামী ১০মিনিট যদিও বসেও মনে করার ট্রাই করেন তাহলে আপনি দেখবেন যে বড়জোড় ২/৩টা টপিক ছাড়া কিছুই আপনার মাথায় নেই।এই ভুলে যাওয়াটাই হলো Shallow Learning কিন্তু যদি এমন হতো যে আপনি ৩মাসে নিজে কিছু শিখলেন


এবং সেটা সাথে সাথে অন্য কাউকেও শেখালেন তাহলে কি হতো? ইয়েস,রাইট আপনি সঠিক আন্দাজ করেছেন।আপনার তাহলে আজকে ৩মাস পর এসে শুধু ২/৩টা টপিক বাদে সব টপিকই মাথায় রাখতে পারতেন।এই প্রক্রিয়াটাকে বলে Deep Learning । এখন যদি আপনাকে একটা ডীপ লার্ণিং এর উদাহরণ বলি তাহলে বলবো আমি গত বছরে অটোক্যাড শিখেছিলাম এবং আমি ভার্চুয়ালি আপনাদেরকেও সেটা শিখিয়েছি এমনকি আমার ভবিষ্যতের জন্যও সেটা স্টোর করেছি।হাহা,কিভাবে এটা ভাবছেন তো? আপনি যদি এখন আমার এই ইউটিউব চ্যানেল চেক আউট করেন তাহলে দেখতে পাবেন এখানে অটোক্যাডের প্রায় ২২০টা ভিডিও আছে।যেটা আমি নিজে ট্রেনিং সেন্টার থেকে তো শিখেছিই সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আরো এডভান্স কিছু শিখেছি ইউডেমি থেকে।তাহলে এখন কি ঘটলো? আমার Shallow Learning টা কিন্তু এখন আর শ্যালো নাই সেটা Deep

বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১

চলুন আজকে Shallow Learning থেকে Deep Learning শিখি। 💥


আপনার মেমোরিও যদি আমার মত শর্ট টাইম হয় তাহলে চলুন শ্যালো থেকে ডীপ লার্ণিং এর গল্প শোনাই। গত ৩মাসে আপনি ঠিক কি কি শিখেছেন? নিশ্চয়ই একেবারে কোন কিছু না শিখে তো আর বসে থাকেন নি।তো আপনি যেই যেই জিনিসগুলো শিখেছেন সেটা এখন এখন এই মুহূর্তে কিংবা আগামী ১০মিনিট যদিও বসেও মনে করার ট্রাই করেন তাহলে আপনি দেখবেন যে বড়জোড় ২/৩টা টপিক ছাড়া কিছুই আপনার মাথায় নেই।

 

এই ভুলে যাওয়াটাই হলো Shallow Learning কিন্তু যদি এমন হতো যে আপনি ৩মাসে নিজে কিছু শিখলেন এবং

রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

নারী -হুমায়ুন আজাদ (বই রিভিউ) Nari-Humayun Azad 👩‍🦰 ।। নারী-ড. হুমায়ূন আজাদ । বই রিভিউ-২০২১ ।। 4.5year Banned Book In Bangladesh 🔥

 হুমায়ুন আজাদের কিছু বই, আপনাকে হয়ত তার প্রতি ঘৃনা, বিরক্তি জাগাতে বাধ্য করতে পারে কিন্তু হুমায়ুন আজাদকে যদি বাস্তবেই চিনতে চান, তাকে কেন্দ্র করে আপনার ধ্যান-ধারণার যদি পরিবর্তন ঘটাতেই চান, তবে 'নারী' গ্রন্থটি এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পারে৷ হ্যা ধর্মকে কেন্দ্র করে তার কিছু কথাবার্তা


আপনার ধার্মিক মস্তিষ্কে আঘাত হানতে পারে, আপনার 'ধর্মানুভূতি' ধাউ ধাউ করে জ্বলে উঠতে পারে কিন্তু কোথাও আপনি অক্ষমতা অনুভব করবেন, আপনার মস্তিষ্কের কোনো এক অংশ আপনাকে জানাবে, আপনি অসহায়, ক্ষোভ ব্যতীত কোনো যৌক্তিক অস্ত্র আপনার কাছে নেই। জানতে পারবেন, এই ক্ষোভের উৎস, বুঝতে পারবেন যে, আপনি একজন পুরুষতান্ত্রিক! আপনার 'ধর্ম' সেই

শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

Je Jole Agun Jole-Helal Hafiz ।। যে জলে আগুন জ্বলে -হেলাল হাফিজ ।। সর্বাধিক বিক্রিত কবিতার বই রিভিউ

  

এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়

কিংবা,

নিউট্রন বোমা বোঝ

মানুষ বোঝ না !

এই লাইনগুলো আমরা আমাদের জীবনে বহুবার শুনেছি বা পড়েছি। অনেকেই হয়তো জানেন এই লাইনগুলো

তবুও বৃষ্টি নামুক by রুদ্র গোস্বামী ।। কলকাতার লেখকের কাব্যগ্রন্থ ।। Rudro Goswami Book Review

 বৃষ্টি মানেই রুক্ষ মাটিতে সবুজের প্লাবনের সূচনা। আবার বৃষ্টি মানেই একলা বিষাদে নীল হয়ে যাওয়া। তাই বৃষ্টির একেকটি ফোঁটার একপিঠে একাকীত্বের যন্ত্রণা;



অন্যপিঠে বুভুক্ষু মাটির আর্তনাদ। কবি রুদ্র গোস্বামীর প্রথম কাব্যগ্রন্থতবুও বৃষ্টি নামুক” সেই দ্বিমুখী অনুভবের এক নান্দনিক প্রতিফলন। বিষাদে দীর্ণ হতে হতে তিনি যখন উচ্চারণ করেন – “মেয়েটা পাখি হতে চাইল/ আমি বুকের বাঁদিকে

মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

রিচার্জ ইউর ডাউন ব্যাটারি!-ঝংকার মাহবুব

 

আপনার কি কোনো কাজে মন বসে না? জীবনের ব্যাটারি কি ডাউন হয়ে গেছে? তাহলে দেরি কেনো !রিচার্জ ইউর ডাউন ব্যাটারি!
সত্যি বলতে চারদিকে হাজারো বই পাওয়া যায় মোটিভেট হওয়ার জন্য। মোটিভেট হয়ে সব সময় মোটিভেট থাকতে পারাটাই সাফল্য। বইটাতে এ ধরনের কথাই বলা আছে।

এখন বলেন না, যে ভাই ২০২১সালে এসে কেনো এই বইয়ের রিভিউ দিচ্ছেন। তো সেটা যদি বলতে হয় তাহলে আমি বলবো আমি এই বইটা ২০১৮সালে কিনেছি।জ্বি হ্যাঁ আপনি একেবারেই সঠিক শুনেছেন। অনেকদিন পর এখন আবার বইটা পড়লাম, তো আগে যেহেতু ভিডিও করার চিন্তা মাথায় ছিলোনা সেজন্য তখন ভিডিও বানাইনি।ভেরি সিম্পল, এখন আপনাদের বইটি সম্পর্কে জানানোর আগ্রহ জাগলো তাই জানাতে চলে এলাম ।

প্রথমেই এই বইয়ের কিছু ভালো লাগার অংশ বলিঃ

আমি এই বইটিকে অন্যরকম বলব কেননা বইটি গল্পের মতো করে কথোপকোথন আকারে লেখা হয়েছে। একজন বড় ভাই তাঁর ছোট ভাইকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন, সেটা শুনে তার কী প্রবলেম হচ্ছে আবার


সেটা কিভাবে সল্ভ করা যায় - এরকম ভাবে বইটি এগিয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের স্টুডেন্টদের মধ্যে যাদের কোনোকারণে ব্যাটারি ডাউন বা লো হয়ে গেছে তাদের জন্য আাবির নামের চরিত্রটি উত্তম মডেল হতে

বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২১

সাঁতারু ও জলকন্যা- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (বই রিভিউ)

  শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় , তার বিশেষ লেখনি শক্তি দ্বারা আমাদের বাঙালিদের মানসপটে বিশেষ জায়গা দখল করে রয়েছেন। দূরবীণ, পার্থিব, মানবজমিন ইত্যাদি জনপ্রিয় উপন্যাসের তিনিই অন্যতম স্রষ্টা। বাংলা সাহিত্যের অপ্রতিদ্বন্দ্বী একজন লেখক।

আজকে তারই ধারাবাহিকতায় আমার হাতে রয়েছে তার “সাঁতারু ও জলকন্যা” নামের অনন্য উপন্যাসটি। তো আগেই বলে নেই, বইটি মূলত বলতে গেলে বড়দের একটি প্রেমের উপন্যাস।যেখানে দেখানো হয় একজন বালিকা কিভাবে তার কিশোরী বয়সে পরিণত হয় এবং তার মধ্যে কিভাবে প্রেম জাগ্রত হয় এসবকিছু। বইটি পড়ে পড়ে আপনি এতটাই মুগ্ধ হবেন যে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। বইয়ের সাইজ দেখে নিশ্চয়ই আপনারা আন্দাজ করতে পারতেছেন যে বইটি পড়তে ঠিক আমার কতক্ষণ লাগতে পারে।আপনি যদি উপন্যাস প্রেমী হয়ে থাকেন তবে এই বইটি পড়তে আপনার সর্বোচ্চ আড়াই ঘন্টা সময় লাগবে। আমি তো এক বসাইতেই এটা শেষ করে তারপর উঠেছি।

তো যাইহোক এখন যদি কাহিনী সংক্ষেপ এ আসি তাহলে আমি বলবো,

বইটিতে উপন্যাসের যে বৈশিষ্ট্য আছে তার সবকিছুই আছে।এখানেও অনেকগুলো চরিত্র রয়েছে।যাদের মধ্যে হলো যিনি গল্পের নায়ক অর্থাৎ,অলক। তার দুই বোন মধুরা এবং প্রিয়াঙ্গি। যারা কিনা দুইজনেই যথেষ্ট মেধাবী এবং খুবই ভালো গুণে কিংবা প্রতিভার অধিকারিনী।রয়েছে অলকের পিতা সত্যকাম এবং মাতা মনীষা। এই গল্পে সত্যকাম এবং মনীষা দুইজনেই কালচারাল লাইনের লোক।কেউ নাটকের সাথে যুক্ত আবার কেউ নৃত্যনাট্যের সাথে যুক্ত। আরো চরিত্রের মধ্যে

শনিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২১

Life's Amazing Secrets: How to Find Balance and Purpose in Your Life (বাংলা রিভিউ)

 

Life's Amazing Secrets: How to Find Balance and Purpose in Your Life

অর্থাৎ ,  জীবনের বিস্ময়কর রহস্য: জীবনের উদ্দেশ্য এবং ভারসাম্য কিভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে তা নিয়েই এই বইয়ের আয়োজন।

নিশ্চয়ই এই বইয়ের নাম শুনেই আমরা বুঝে গেছি যে কি নিয়ে এই বইটি লেখা,তাই না?

প্রথমে আমি লেখকের কথা বলতে চাই। গৌড় গোপাল দাস, যিনি জন্মগ্রহণ করেন ভারতের মহারাষ্ট্রে। তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করেন। হিউলেট প্যাকার্ডের সাথে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখার পরে, তিনি তার জীবনকে লাইফকোচ হিসাবে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলস্বরূপ 1996 সালে তিনি ইসকনে যোগ দিয়েছিলেন। আধ্যাত্মিকতা এবং অনুপ্রেরণার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে 2016 রোটারি ইন্টারন্যাশনালের সুপার অ্যাচিভার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছিল।এছাড়াও তিনি অনেক পুরুষ্কার অর্জন করেছেন।

সহজে বলতে গেলে তিনি একজন সন্ন্যাসী এবং লাইফ কোচ,যিনি আধ্যাত্নিক বিষয়ে ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও পাবলিশ করেন যা কিনি প্রতিনিয়ত মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হচ্ছে।

তার লেখা এই বইটি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়। যেখানে তিনি তার ভিডিও কিংবা স্পীসের মতোই চারটি নীতি নিয়ে আলোচনা করেছেন যা সুখী জীবনের ভিত্তি তৈরি করে। এগুলো হলো: ব্যক্তিগত জীবন, সম্পর্ক, কর্মজীবন এবং সামাজিক অবদান। এই চারটি বিষয়কে কিভাবে আমরা আমাদের জীবনে ব্যালেন্স করে মূল্যবোধ এবং সুখ খুঁজে পেতে পারি মূলত তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আমাদের লাইফ হলো একটা জার্ণি, সেই যাত্রা কিংবা ভ্রমণের পথ যতই খারাপ হউক না কেনো অবশ্যই সেই পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে এবং তা খুব বিচক্ষণতার সহিত। রিলেশনশীপ নিয়ে লেখক একটি কথা বলেছেন যে, Anyone can find the dirt in someone. Be the one that finds the gold. অর্থাৎ, কোন মানুষ একজন মানুষের মধ্যে ময়লা খুঁজে পেতে পারে, আপনি সেই মানুষটি হউন যে কিনা সেখানে স্বর্ণ কিংবা মূল্যবান কিছু খুঁজে বের করবেন। তিনি আরো বলেছেন, কোন মানুষের