শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১

সেল মি দিস পেন-রাসেল এ কাউসার(বিশদ বই রিভিউ)

 

আপনার মেমোরিও যদি আমার মত শর্ট টাইম হয় তাহলে চলুন শ্যালো থেকে ডীপ লার্ণিং এর গল্প শোনাই। গত ৩মাসে আপনি ঠিক কি কি শিখেছেন? নিশ্চয়ই একেবারে কোন কিছু না শিখে তো আর বসে থাকেন নি।তো আপনি যেই যেই জিনিসগুলো শিখেছেন সেটা এখন এখন এই মুহূর্তে কিংবা আগামী ১০মিনিট যদিও বসেও মনে করার ট্রাই করেন তাহলে আপনি দেখবেন যে বড়জোড় ২/৩টা টপিক ছাড়া কিছুই আপনার মাথায় নেই।এই ভুলে যাওয়াটাই হলো Shallow Learning কিন্তু যদি এমন হতো যে আপনি ৩মাসে নিজে কিছু শিখলেন


এবং সেটা সাথে সাথে অন্য কাউকেও শেখালেন তাহলে কি হতো? ইয়েস,রাইট আপনি সঠিক আন্দাজ করেছেন।আপনার তাহলে আজকে ৩মাস পর এসে শুধু ২/৩টা টপিক বাদে সব টপিকই মাথায় রাখতে পারতেন।এই প্রক্রিয়াটাকে বলে Deep Learning । এখন যদি আপনাকে একটা ডীপ লার্ণিং এর উদাহরণ বলি তাহলে বলবো আমি গত বছরে অটোক্যাড শিখেছিলাম এবং আমি ভার্চুয়ালি আপনাদেরকেও সেটা শিখিয়েছি এমনকি আমার ভবিষ্যতের জন্যও সেটা স্টোর করেছি।হাহা,কিভাবে এটা ভাবছেন তো? আপনি যদি এখন আমার এই ইউটিউব চ্যানেল চেক আউট করেন তাহলে দেখতে পাবেন এখানে অটোক্যাডের প্রায় ২২০টা ভিডিও আছে।যেটা আমি নিজে ট্রেনিং সেন্টার থেকে তো শিখেছিই সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আরো এডভান্স কিছু শিখেছি ইউডেমি থেকে।তাহলে এখন কি ঘটলো? আমার Shallow Learning টা কিন্তু এখন আর শ্যালো নাই সেটা Deep learning এ চলে গেছে। তো সব কথার মূলকথা একটাই- Use it or Lose it !

তো আজকে আমার হাতে যে বইটি আছে সেটা হলো-সেল মি দিস পেন।রাসেল এ কাউসার।এই বইয়ে একই সাথে আপনি পার্সোনাল গ্রোথ,স্কিল ডেভেলপমেন্ট,ক্যারিয়ার গ্রোথ,বিজনেস গ্রোথ,প্রোডাক্টিভিটি ম্যানেজমেন্টসহ এরকম আরো অনেক বিষয়ের সহজ সাবলীল ধারণা পেয়ে যাবেন।

বইয়ে তিনি বলেছেন আমরা যেনো কোন কিছুর ফিচার সেল না করে শুধুমাত্র বেনিফিটটাই সেল করতে পারি।

যেমন আমরা কিন্তু আর আগের মতো ইকোনো ডি-এক্স কলম দিয়ে লেখি না।আমরা এখন বলতে গেলে একই দামের অন্য আরেকটি ব্র্যান্ড ম্যাটাডোর এ সুইচ করেছি।এর কারণ কি?কারণ, ম্যাটাডোর আমাদেরকে যতটুকু না আউটলুক প্রোভাইড করতেছে তারচেয়ে বেশি প্রোভাইড করতেছে ভালো গ্রিপ,দুই লাইন লেখার পরই সেটা খুব দ্রুত রান হয় যেটা কিনা ইকোনো ডি-এক্স আমাদেরকে দিতে পারতোনা।তো বেনিফিট সেল করার বিষয়টা কিভাবে বাস্তব জীবনে কাজে লাগাবেন?দেখা গেলো আপনি ভালো কথা বলতে পারেন কিন্তা এখান এদেখার বিষয় এটা যে অন্য প্রতিযোগিদের তুলনায় আপনি ঠিক কতো ভালো কথা বলে এগিয়ে রাখতে পারেন সেই বিষয়টা।কারণ পূর্বেই আমরা দেখেছি Matador এবং Econo Dx দুইটা কলমই কিন্তু লিখতে পারতো কিন্তু দিনশেষে ম্যাটাডোরই আমাদের নিকট জনপ্রিয় কারণ সেটা ছিলো গোল গ্রিপের যা কিনা আমপনাকে ষড়ভুজ আকৃতির কলম ধরে হাট ব্যাথা থেকেও মুক্তি দিতে পারতো! বেনিফিট না পেলে আমার হাতের বইটাও কিন্তু ভালো না লাগলে আমি ফেলে রাখবো।

চলুন এবার ভারতের এক মুচির গল্প শোনাই,

ভারতীয় মুচিরা প্রতিদিন গড়ে সাধারণত ২০০/২৫০রুপি কামাই করে কিন্তু তাদের মধ্যে একজন মুচি ছিলো যে কিনা দিনে এভারেজে ৫০০রুপি আয় করতো।কারণ কি? কারণ সে তার ব্যবসার কাজটি অসাধারণভাবে উপস্থাপন করেছে।সেটা কিভাবে?সকল মুচিরা তাদের দোকানের বযানারে লিখে রাখেন যে-এখানে জুতা সেলাই করা হয় কিন্তু এই ভিন্ন মানসিকতার মুচি এখানে একটা ভিন্নতা এনেছেন।

তিনি ব্যানারে লিখেছেন যে- এখানে জুতার অপারেশন করা  হয়।ডাক্তার বসার সময় সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা।জরুরি রোগী হলে ICU এর ব্যবস্থা রয়েছে।ভারতীয়রা তাকে রীতিমত এইজন্য ডাক্তার সাহেব নাম দিয়েছেন।কারণ তার এই ট্যাগলাইনটাই তাদের মাথায় ভালোভাবে গেথে গিয়েছিলো।ভারতের অনেক মোটিভেশনাল স্পীকার এই উদাহরণটা আজো তাদের স্পিচে বলে থাকেন।  

গল্পটি থেকে আমরা কিছু ব্যপার শিখতে পারি তা হচ্ছে-আপনার এখন বর্তমান যে অবস্থা আছে সেই অবস্থা থেকেই লাইফে ভ্যালু এড করা শুরু করতে হবে এবং অন্যদের থেকে অসাধারণ করে চিন্তাকরার বোধ জাগ্রত করতে হবে সাথে কিছু অসাধারণ মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত মিশতে হবে।

চলেন এবার একটা নতুন কিছু শিখবো,

ধরেন রহিম করিম দুইজন বন্ধু।তো তারা জঙ্গলে গেলো কাট কাটতে এবং এটাকে একটা প্রতিযোগিতা হিসেবে নিলো।তারা যখন গাছটা কাটতে গেলো গাছটা কিন্তু কাটতেছিলোনা।কিভাবেই বা কাটবে তাদের কুড়ালে তো ধারই নাই।আচ্ছা তবুও ধরে নিলাম একজন ওই ভোতা কুড়াল দিয়েই ২ঘন্টায় গাছটি কেটে ফেললো।

 এবার একবার ভাবুন,তাদের মধ্যে যে ২ঘন্টা ক্ষেপণ করে গাছটা কাটলো সে যদি এর মধ্যে ২০মিনিট ওই কুড়ালটাতে ধার দিতো তাহলে দেখা যেতো সে ওই গাছটাকে ২ঘন্টার জায়গায় ১ঘন্টাতেই কাটতে পারতো।কিন্তু ওই ব্যাক্তিটি এটা কেনো করেন নি? কারণ তারমধ্যে ভয় কাজ করতেছিলো যে কুড়াল ধার দেওয়ার ২০মিনিট সময়ে যদি অপর বন্ধু তার চেয়ে এগিয়ে যায়!

তো এটাই হচ্ছে আমাদের সমস্যা।আমরা সময়কে খরচ করে ইনভেস্ট করতে চাইনা শুধুমাত্র হেরে যাওয়ার ভয়ে।তাই লেখক বলেছেন,আমাদের এমন একটা কাজের লিস্ট বানাতে হবে যেটাতে আমরা যেই বিষয়গুলোকে ভয় পাই ওগুলোকে যাতে শেখার জন্য টপ লিস্টে রাখি।

বইয়ে আরেকটা টপিক আছে যেটা হচ্ছে,মানুষ আমাদেরকে আগে আমাদের বাইরের লুক নিয়েই জাজ করবে।মানে জব করতে ইন্টার্ভিউ দিতে গেলে আপনাকে অন্যের থেকে যেই বিষয়গুলো আলাদা করে রাখবে সেই জিনিসগুলোর ভ্যালু এড করতে হবে।যেখানে আছে, ফোর্বস ৩০ আন্ডার ৩০, গ্লোবাল গুডউইল অ্যাম্বাসেডর, দ্য ডিউক এডিনবার্গ এওয়ার্ড, বাংলাদেশ বিজনেস অযাওয়ার্ড। যাদের মধ্যে বয়সের কিছু ক্যাটেগরি আছে যেগুলো আপনি ১৪-২৪ বছর আবার কিছু আছে ৩০বছরের ভেতর অর্জন করতে পারবেন এগুলো নিয়ে মোটামুটি ভালোভাবে লেখা হয়েছে।

এখানে আরো বলা হয়েছে একসময়কার অপো ব্র্যান্ড এর হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ‘পিটে লাউ’ এর কথা যিনি কিনা বর্তমান ওয়ান প্লাস ব্র্যান্ডের  সহ প্রতিষ্ঠাতা। আরো বলা হয়েছে হ্যারি পটার সিরিজের লেখিকা জেকে রওলিং এর কথা।যারা কিনা নিজের লক্ষ্যে অনড় থেকে আজ বিশ্বখ্যাত।লেখক বলেছেন যে, যে জিততে চায় সে কখনো থামে না আবার যে নিজেকে থামিয়ে দেয় সে কখনো জিততে পারেনা।তাই তিনি Never Give Up এর উপর ফোকাস করেছেন এবং ইচ্ছাশক্তিতে বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যাওয়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

এরপ আছে Trap Yourself. যেমন আপনি কোন কিছু শুরু করেছেন এটা যাতে আপনি দুনিয়ার সবাইকে জানিয়ে দেন শুরু করার সাথে সাথে।এতে করে হবে কি আপনি ট্র্যাপুড হয়ে যাবেন এবং লোকলজ্জ্বার ভয়ে হলেও নিজেকে ওই কাজ করানোর জন্য বাধ্য রাখতে পারবেন।

এরপর আবার বলেছেন Network is Currency । সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সেমিনারে যেতে বলা হয়েছে যেখানে আপনি নতুন মানুষের সাথে নেটওয়ার্ক ক্রিয়েট করবেন।এরপর ফেসবুকে মানুষের পোস্টে গিয়ে যাতে টাকলা মার্কা কমেন্ট না করে তাদের যাতে এপ্রিশিয়েটকরি এবং তাদের চোখ এহিরো বনে যেতে পারি এসব নিয়ে বলা হয়েছে।

এরপর বলা হয়েছে সাইমন সিনেকের বই Start with why , ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েলের বই Outliers, রবার্ট কিয়োসাকির বই Rich Dad Poor dad , স্পেনসার জনসন এর বই The One minute manager নিয়ে।এগুলো নিয়ে আমি কথা বাড়াবোনা কারণ আমি এই বইওগুলো নিয়ে আলাদা আলাদা রিভিউ দিয়েছি যেগুলো আপনারা এই ভিডিওর ডানপাশে কর্নারে আই বাটন কিংবা এই চ্যানেলের বই রিভিউ প্লে লিস্ট চেক করলে তা আরো সহজভাবে বুঝতে পারবেন।

এরপর তিনি এই বইয়ে বই পড়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন আরো গুরুত্ব দিয়েছেন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার উপর । যা কিনা আপনার লাইফের প্রোডাক্টিভিটি আরো বাড়িয়ে দিবে।

এখানে আরো বলা হয়েছে, 10second rules, 1Week Rules, 50-30-20 Rules, 80-20 Rules নিয়ে।(ইউটিউবের ভিডিওটি দেখুন সেখানে এসব নিয়ে ভালোভাবে বলা হয়েছে) (৫৫,৫৪,৮৪ পৃঃ)

এরপর এখানে ইউটিউবের সদ্ব্যব্যবহার নিয়ে বলা হয়েছে যে যাতে এটাকে আমরা শুধুমাত্র শেখার কাজেই ভালোভাবে ইউজ করি।কয়েকটা ইউটিউব চ্যানেলের কথাও এখানে বলা হয়েছে।

১৩৬,এক্টিভ ইনকাম আর প্যাসিভ ইনকাম নিয়েও এখানে বলা হয়েছে।

এরপর তিনি বলেছেন,ইনফোপ্রিনিয়রের কথা।সেটা কেমন?যেমন,একজন ব্যবসায়ী ৭টাকা দিয়ে ১টা ডিম কিনে সেটা ১টাকা লাভে অর্থাৎ ৮টাকায় বিক্রি করে দেন।কিন্তু একজন অন্ট্রাপ্রিনিওর সেটাকে ভিন্নভাবে ভাবেন।তিনি ভাবেন নতুন কি ভ্যালু এড করে সেটাকে ১৫টাকায় সেল করা যায়।

আর ইনফোপ্রিনিয়র যেটা করেন তা হলো, তিনি ডিম কেনেনও না আবার সেটাকে ১৫টাকায় বেচার কথাও ভাবেন না।তিনি যেটা করেন সেটা হলো,এই দুইটা বিষয়কেই মনের মধ্যে রাখেন এবং একতা অনলাইন বা অফলাইন সেমিনার বা বই লিখে বা মাস্টারক্লাসের আয়োজন করেন। তো সেখানে যারা রেজিস্ট্রেশন করে অথবা তার ওই বইটা কিনে পড়েন  ওই রেজিস্ট্রেশন ফি বা বই বিক্রির টাকাটাই হলো তার লাভ। তাহলে কি দাঁড়ালো?

তিনি না ৭টাকার ডিম ৮টাকায় বেচলেন না ৭টাকার ডিমকে মডিফাই করে ১৫টাকায় বেচলেন।সোজা এই দুইটা কনসেপ্টকে বা টিপসকে মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে এমন কৌশল করলেন যেখান থেকে তিনি হাজার হাজার টাকা আয় করলেন শুধু মাত্র একটা বই লিখে বা একটা সেমিনারের আয়োজন করে!এই ইনফোপ্রিনিয়রের কনসেপ্টটা এখনো বাংলাদেশে নতুন বলা যায়।যদিও এখন অনেকেই এভাবে প্রচুর টাকা কামাচ্ছেন।যাদের মধ্যে আছে সোলাইমান সুখন,আয়মান সাদিক,সামদানি ডন সহ বাংলাদেশের অনেকেই।  

এবার কথা বলবো কিভাবে বিনা পয়সায় নিজেকে বা নিজের পণ্যকে প্রমোট করবেন তা নিয়ে।এটাকে ইংরেজিতে বলে CTA বা Call to Action. উদাহরণ দিয়ে বলি তাহলে বুঝবেন।ধরুন আপনি আজকে একটা রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছেন,এবং সেখানে ছবি তুলে ফেসবুকে ছবিগুলো আপ দিলেন আর ক্যাপশন দিলেন অমুক জায়গায় খেতে গেলাম।তো পোস্টের নিছে অনেকেই হয়তো কমেন্ট করবেন যে, ভালো লাগছে বা সুন্দর লাগছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

কিন্তু আপনি যদি কযাপশনটা চেইঞ্জ করে এটা লিখতেন ছোট্ট করে যে, Cool or Not? এটা লিখলে দেখা যেতো যে অনেকেই আপনার প্রশ্নটার উত্তর দেওয়ার জন্য কমেন্ট করতো যেটা কিনা আগের থেকেও বেশি কমেন্টের পরিমাণ হতো।ফেসবুকের এলগরিদম অনুযায়ী একটা পেইজে যদি ১লাখ ফলোয়ারও থাকে তবুও আপনার একটা পোস্ট শুধুমাত্র ১০০জন ফলোয়ারের কাছেই যাবে।এরপর যদি আপনার পোস্টে অন্যরা কমেন্ট করে তাহলে সেখানে ওই ব্যাক্তিদের যে ফ্রেন্ড আছে তাদের নিকটও ওই ব্যাক্তিদের কমেন্ট টা চলে যাবে।যে, অমুক কমেন্টেড অন দিস! এভাবে করে আপনার পেইজটার রিচ্‌ বাড়তে তাহকবে এবং যদি ১০জন কমেন্ট করে তাহলে ১০০*১০=১০০০জনের কাছে আপনার পেইজের বা প্রোফাইলের পোস্ট শো করবে।তাহলে কি ঘটলো? আপনার পেইজ বা প্রোফাইলের বিনা পয়সায় প্রমোশন হয়ে গেলো না?এভাবে কল টু অ্যাকশনের ধারণা কাজে লাগানো যায়।

 সবশেষে ১৫১ পৃষ্ঠায় থাকা একটা টপিক নিয়ে বলি,সেটা হলো পাওয়ার অফ ব্র্যান্ডিং। দেখতে হুবহু দুইটা মগের একটাতে আরএফএল এর লোগো লাগানো  আছে আরেক্টাতে নাই।আপনি কোনটা কিনবেন?

মনে রাখতে হবে, প্রোডাক্ট ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয় আর ব্র্যান্ড কিন্তু আমাদের মনে আর চোখে সবসময় ভাসে।

এখন বইটি সম্পর্কে যদি আমার মতামত দেই তাহলে বলবো আমি বইটির নাম পড়ে বা দেখে যেটা ভেবেছি তা হলো এটা সম্ভবত বিজনেস স্ট্রেটেজি নিয়ে লেখা কোন বই হবে।পরবর্তীতে আমি এটা পড়ে আসলে যা বুঝতে পারলাম তা হলো এটা একটা সেল্প ডেভেলপমেন্ট বা আত্নন্নোয়নমূলক বই। বইটা আমি নাম দেখেই আর্ডার করেছিলাম।আর লেখকেও আমি যতটুকু জানি উনি বেশ রেপুটেড ফিল্ডে জব করেছেন সেই সুবাধে ধরেই নিয়েছিলাম বিজনেস রিলেটেড বই। আর সেল্প ডেভেলপমেন্ট এর বই যদি আপনি কিছু পড়েন তাহলে দেখবেন যে সব বইয়ের সাথে সববইয়ের কোন না কোনো দিক থেকে কম করে অন্তত ৩০% মিল পেয়ে যাবেন।তো সেদিক থেকে আপনি যদি অনেকগুলো এই ধাচের বই পড়েন তাহলে কিছু কিছু বিষয় মনে হবে আরেহ্ এটা তো আমি আগেও পড়েছি কোথায় জানি! এরকম একটা ব্যপার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your valuable comment.