"বিন্দুর ছেলে" অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি ছোটগল্প । গল্পটি ১৯১৩ সালে রচিত। একান্নবর্তী কিংবা যৌথ পরিবারের পারিবারিক সম্প্রীতি, টানাপোড়নসহ নানা চড়াই-উৎরাই সুন্দরভাবে গল্পেটিতে তুলে ধরা হয়েছে। এই গল্পটা যৌথ থেকে একক পরিবারে রূপান্তরিত হওয়ার মধ্যবর্তী সময়কার একটা ক্রাইসিস মুহূর্ত নিয়ে লিখা।
প্রায় দুই দশক আগে ঠিক আমাদের পরিবারটাও এই গল্পের মতো একটা যৌথ পরিবারে হাসি কান্না, মায়া মমতায় টইটম্বুর ছিল। যদিও এখনকার প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন একক পরিবারের জয়জয়কার অবস্থা।এই গল্পের মূল চরিত্র বিন্দু এবং তার ছেলে অমূল্য।
গল্পটি
শুরু হয় যাদব ও মাধব নামের দুই ভাই এবং যাদবের স্ত্রী
অন্নপূর্ণাকে নিয়ে।যদিও যাদব ও মাধব তারা সহোদর না।তবে তাদের সম্পর্কটি এতটাই গভীর
যে এটা সবাই ভুলেই যায়।দরিদ্র যাদব ও তার স্ত্রী অন্নপূর্ণা অনেক কষ্ট করে মাধবকে
পড়াশোনা করিয়ে ওকালতি পাস করায় এবং বিন্দুবাসিনী এর সাথে বিয়ে দেয়।এই
বিন্দুবাসিনী চরিত্রকে এখানে সংক্ষেপে বিন্দু বলা হয়েছে।
এই বিন্দু ছিলো রূপবতী, রূপের সাথে ছিল অহংকার ও অভিমান।ফলে তাকে কিছু