রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

Ramer Sumoti - Sarat Chandra Chattopadhyay । কখনো কখনো সম্পর্ক মাতৃত্বকেও হার মানায় ! বই রিভিউ -২০২১

 রামের সুমতি বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত গল্প।গল্পটি ১৯১৪ সালে প্রকাশিত হয়। এতে গল্পকার মানুষের সাথে মানুষের আত্মিক সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরেছেন।

এখন রামের সুমতি গল্পের রিভিউতে আসা যাক।



রামলাল গ্রামের এক দুরন্ত কিশোর। সব ব্যাপারেই তার দুস্টুবুদ্ধির কারণে গ্রামের সবাই ভীত থাকে। এমনকি তার দুরন্তপনার সংবাদ আশেপাশের গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। তার দুরন্তপনার একান্ত সহযোগী ভৃত্য ভোলা। অপরদিকে তার বৈমাত্রেয় বড় ভাই শ্যামলাল শান্ত প্রকৃতির। সে গ্রামের কাছারীতে কাজ করে ও পৈতৃক সম্পত্তি দেখাশুনা করে। তার স্ত্রী নারায়ণী যে বছর ঘরে আসে তখন রামের মা আড়াই বছরের রামকে তার হাতে দিয়ে মারা যান। সেই থেকে নারায়ণী রামকে কোলে পিঠে মানুষ করেছে। তাই রামের দুরন্তপনা ও বদমেজাজ ভৃত্য ভোলা, নৃত্যকালী এমনকি বড় ভাই শ্যামলালের উপর খাটালেও বউদিকে সে মান্য করে। বউদির জ্বর ভালো

বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১

বিলাসী-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (Bilashi-Sarat chandra chattopadhyay ) বই সারাংশ

 

বিলাসী অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি ছোটগল্প।

গল্পটি বলা হয়েছে 'ন্যাড়া'র জবানবন্দিতে। ন্যাড়ার সাথে পড়ত মৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যুঞ্জয়কে আজীবন সবাই থার্ড ক্লাসে পড়তে দেখেছে। তাকে কেউ সেকেন্ড ক্লাসে উঠতে দেখে নি। তার ফোর্থ ক্লাসে পড়ার ইতিহাসও জানা যায় না। তার আপন বলতে কেউ ছিল না, শুধু এক খুড়ো ছাড়া। খুড়োর কাজ ছিল ভাইপোর বিরুদ্ধে হরেক রকম দুর্নাম রটানো।



মৃত্যুঞ্জয় নিজে রান্না করে খেত। তার বাড়ি সংলগ্ন আমবাগান থেকে আয়কৃত অর্থে দিন গুজরান হত তার।

গ্রামের ভিতরে মৃত্যুঞ্জয়ের নামে হরেক রকম দুর্নাম শোনা গেলেও, সে ছিল দিলদরিয়া। সে দোকান থেকে এটা ওটা কিনে খাওয়াত সবাইকে। দরিদ্রকে সাহায্য করত সে। কিন্তু,

বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০২১

The Art of Happiness 😇 by Dalai Lama & Howard Cutler । Book Review in Bangla । বাংলা রিভিউ

 

নমষ্কার এবং সালাম, আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমরা সবসময়ই চাই যে কিভাবে, ঠিক কিভাবে আমরা আমাদের জীবনে সুখ পেতে পারি কিংবা আমরা আমাদের লাইফে সবসময়ই হন্য হয়ে সুখের সন্ধান করতে থাকি।

অথবা আমরা নিজেকে প্রশ্ন করি যে, কিভাবে আমি সুখী মানুষ হতে পারি।


এমন এটাও হয়তো কখনো কখনো ভাবি যে কিভাবে সুখ খুঁজে পাবো এটা নিয়ে যদি কোন বই থাকতো তবে অসাধারণ হতো।

যদি আমার এতক্ষণ বলা এই ধারণাগুলো সঠিক হয়ে থাকে তবে আমি বলবো আপনি সঠিক একটা ভিডিও দেখতে আসছেন। আজকে আমার হাতে যে বইটি রয়েছে সে বইটি হলো দ্যা আর্ট অব হ্যাপিনেস।বইটি লিখেছেন তিব্বতের আধ্যাত্নিক প্রধান ১৪তম দালাই লামা ,যার প্রধান নাম হচ্ছে তেনজ়িন গিয়াৎসো এবং

শুক্রবার, ১৯ মার্চ, ২০২১

প্রোডাক্টিভ মুসলিম-মুহাম্মদ ফারিস । ইসলামিক বই রিভিউ (বিস্তারিত রিভিউ পড়ুন) Productive Muslim Book Review in Bangla

 ধরুন আপনি আর মাত্র ৩ বছর বেঁচে থাকবেন। কিন্তু আপনি যদি এমন কিছু কাজ করেন যা অন্যের ২০ বছরের কাজের সমান তবে এই বৃদ্ধি পাওয়া কাজই আপনার ৩ বছরের বেঁচে থাকার তুলনায় ‘বারাকাহ’।ছোট্ট কাজ বা প্রচেষ্টায় অপ্রত্যাশিত অধিক পাওয়াকেই বারাকাহ বলে।

আজকে আমি কথা বলবো,আমার হাতে থাকা বিদেশী বই প্রোডাক্টিভ মুসলিম নিয়ে।যে বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১৬ সালে, আর আমার কাছে যে গ্রন্থটি আছে সেটি ওই বইয়ের অনুবাদ।বইটি লিখেছেন-মোহাম্মদ ফারিস। এই লেখক মোহাম্মদ ফারিস পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মুসলিম আত্নোন্নয়নমূলক ওয়েবসাইট Productivemuslim.com এর প্রতিষ্ঠাতা।



বইটিতে রয়েছে মোট ৯টি অধ্যায়।বইটি পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন একজন মুসলিম হিসেবে আপনার লাইফস্টাইল টা কেমন হবে,কেমন যাচ্ছে কিংবা আপনার জীবনযাপনে কোন পরিবর্তনগুলো আনার এখনই সঠিক সময়।

আমরাজানি, প্রোডাকটিভিটি=আউটপুট/ইনপুট। লেখক এখানে দেখিয়েছেন মনোযোগ বা ফোকাস এবং শারীরিক কার্যক্ষমতা এবং লাভজনক উদ্দেশ্যে ব্যায় করা সময় মিলেই হচ্ছে প্রোডাকটিভিটি।এই বইটিতে আত্ন উন্নয়ন,আত্ন বিকাশ, আত্নোপব্ধির এক সুনিপন কম্বিনেশন তুলে ধরা হয়েছে। মেধা,সময় এবং বোধ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে নিজেকে কিভাবে এই নশ্বর পৃথিবীতে অধিষ্টিত করা যায় তা

সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০২১

বিন্দুর ছেলে-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর ছোট গল্প/উপন্যাস (বই রিভিউ)

 "বিন্দুর ছেলে" অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি ছোটগল্প । গল্পটি ১৯১৩ সালে রচিত। একান্নবর্তী কিংবা যৌথ পরিবারের পারিবারিক সম্প্রীতি, টানাপোড়নসহ নানা চড়াই-উৎরাই সুন্দরভাবে গল্পেটিতে তুলে ধরা হয়েছে। এই গল্পটা যৌথ থেকে একক পরিবারে রূপান্তরিত হওয়ার মধ্যবর্তী সময়কার একটা ক্রাইসিস মুহূর্ত নিয়ে লিখা।

প্রায় দুই দশক আগে ঠিক আমাদের পরিবারটাও এই গল্পের মতো একটা যৌথ পরিবারে হাসি কান্না, মায়া মমতায় টইটম্বুর ছিল। যদিও এখনকার প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন একক পরিবারের জয়জয়কার অবস্থা।এই গল্পের মূল চরিত্র বিন্দু এবং তার ছেলে অমূল্য।


গল্পটি শুরু হয়  যাদব ও মাধব নামের দুই ভাই এবং যাদবের স্ত্রী অন্নপূর্ণাকে নিয়ে।যদিও যাদব ও মাধব তারা সহোদর না।তবে তাদের সম্পর্কটি এতটাই গভীর যে এটা সবাই ভুলেই যায়।দরিদ্র যাদব ও তার স্ত্রী অন্নপূর্ণা অনেক কষ্ট করে মাধবকে পড়াশোনা করিয়ে ওকালতি পাস করায় এবং বিন্দুবাসিনী এর সাথে বিয়ে দেয়।এই বিন্দুবাসিনী চরিত্রকে এখানে সংক্ষেপে বিন্দু বলা হয়েছে।

এই বিন্দু ছিলো রূপবতী, রূপের সাথে ছিল অহংকার ও অভিমান।ফলে তাকে কিছু

শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১

সেল মি দিস পেন-রাসেল এ কাউসার(বিশদ বই রিভিউ)

 

আপনার মেমোরিও যদি আমার মত শর্ট টাইম হয় তাহলে চলুন শ্যালো থেকে ডীপ লার্ণিং এর গল্প শোনাই। গত ৩মাসে আপনি ঠিক কি কি শিখেছেন? নিশ্চয়ই একেবারে কোন কিছু না শিখে তো আর বসে থাকেন নি।তো আপনি যেই যেই জিনিসগুলো শিখেছেন সেটা এখন এখন এই মুহূর্তে কিংবা আগামী ১০মিনিট যদিও বসেও মনে করার ট্রাই করেন তাহলে আপনি দেখবেন যে বড়জোড় ২/৩টা টপিক ছাড়া কিছুই আপনার মাথায় নেই।এই ভুলে যাওয়াটাই হলো Shallow Learning কিন্তু যদি এমন হতো যে আপনি ৩মাসে নিজে কিছু শিখলেন


এবং সেটা সাথে সাথে অন্য কাউকেও শেখালেন তাহলে কি হতো? ইয়েস,রাইট আপনি সঠিক আন্দাজ করেছেন।আপনার তাহলে আজকে ৩মাস পর এসে শুধু ২/৩টা টপিক বাদে সব টপিকই মাথায় রাখতে পারতেন।এই প্রক্রিয়াটাকে বলে Deep Learning । এখন যদি আপনাকে একটা ডীপ লার্ণিং এর উদাহরণ বলি তাহলে বলবো আমি গত বছরে অটোক্যাড শিখেছিলাম এবং আমি ভার্চুয়ালি আপনাদেরকেও সেটা শিখিয়েছি এমনকি আমার ভবিষ্যতের জন্যও সেটা স্টোর করেছি।হাহা,কিভাবে এটা ভাবছেন তো? আপনি যদি এখন আমার এই ইউটিউব চ্যানেল চেক আউট করেন তাহলে দেখতে পাবেন এখানে অটোক্যাডের প্রায় ২২০টা ভিডিও আছে।যেটা আমি নিজে ট্রেনিং সেন্টার থেকে তো শিখেছিই সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আরো এডভান্স কিছু শিখেছি ইউডেমি থেকে।তাহলে এখন কি ঘটলো? আমার Shallow Learning টা কিন্তু এখন আর শ্যালো নাই সেটা Deep

বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১

চলুন আজকে Shallow Learning থেকে Deep Learning শিখি। 💥


আপনার মেমোরিও যদি আমার মত শর্ট টাইম হয় তাহলে চলুন শ্যালো থেকে ডীপ লার্ণিং এর গল্প শোনাই। গত ৩মাসে আপনি ঠিক কি কি শিখেছেন? নিশ্চয়ই একেবারে কোন কিছু না শিখে তো আর বসে থাকেন নি।তো আপনি যেই যেই জিনিসগুলো শিখেছেন সেটা এখন এখন এই মুহূর্তে কিংবা আগামী ১০মিনিট যদিও বসেও মনে করার ট্রাই করেন তাহলে আপনি দেখবেন যে বড়জোড় ২/৩টা টপিক ছাড়া কিছুই আপনার মাথায় নেই।

 

এই ভুলে যাওয়াটাই হলো Shallow Learning কিন্তু যদি এমন হতো যে আপনি ৩মাসে নিজে কিছু শিখলেন এবং