বৃষ্টি মানেই রুক্ষ মাটিতে সবুজের প্লাবনের সূচনা। আবার বৃষ্টি মানেই একলা বিষাদে নীল হয়ে যাওয়া। তাই বৃষ্টির একেকটি ফোঁটার একপিঠে একাকীত্বের যন্ত্রণা;
অন্যপিঠে বুভুক্ষু মাটির আর্তনাদ। কবি রুদ্র গোস্বামীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “তবুও বৃষ্টি নামুক” সেই দ্বিমুখী অনুভবের এক নান্দনিক প্রতিফলন। বিষাদে দীর্ণ হতে হতে তিনি যখন উচ্চারণ করেন – “মেয়েটা পাখি হতে চাইল/ আমি বুকের বাঁদিকে
আকাশ পেতে দিলাম” (ঘর)আবার
সকাল কবিতাতে তিনি লিখেছেন,
“যে
সব যুবকেরা বাঁচার দাবিতে মিছিল করতে চেয়েছিল/ তাদের প্রত্যেকের বাড়ির সামনে একশো
চুয়াল্লিশ ধারা জারি”
এ
থেকেই বুঝা যায়, রুদ্র গোস্বামীর কবিতা এক ভিন্ন স্বাদ এনে দেয় পাঠকের কাছে। উনার
কবিতাগুলোতে যেমন প্রেম-ভালোবাসা ফুটে উঠেছে তেমন আবার ফুটে উঠেছে, জাতি ধর্ম তথা
মানুষের জীবন যাপনের যে দৃষ্টান্তমূলক দিনলিপি যেগুলো একালে খুব একটা আমাদের চোখে
পড়েনা।
তিনি
সহজ ভাষায় লিখেছেন, মানুষের বুকের নিরিচ্চারিত শব্দ , হৃদয়ের অনুভবের
কথা,বিদ্রোহের কথা, নিঃশব্দে অশ্রু ঝরার কথা।
এই
বইয়ে আমার মোটামুটি সবগুলো কবিতাই ভালো লেগেছে।তবে বেশি ভালো লাগার কবিতাগুলো হলো-
তো
সবশেষে বলবো বইটি প্রথম কলকাতা বইমেলায় ২০১৫সালে পকাশিত হয় আর বাংলাদেশে ২০১৭সালে।
আমি আশা করি কবিতাপ্রেমীরা বইটি বেশ উপভোগ করবেন।বইটি আপনি ১৩০টাকার আশেপাশে পেয়ে
যাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thank you for your valuable comment.