শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় , তার বিশেষ লেখনি শক্তি দ্বারা আমাদের বাঙালিদের মানসপটে বিশেষ জায়গা দখল করে রয়েছেন। দূরবীণ, পার্থিব, মানবজমিন ইত্যাদি জনপ্রিয় উপন্যাসের তিনিই অন্যতম স্রষ্টা। বাংলা সাহিত্যের অপ্রতিদ্বন্দ্বী একজন লেখক।
আজকে তারই ধারাবাহিকতায় আমার হাতে রয়েছে তার “সাঁতারু ও জলকন্যা” নামের অনন্য উপন্যাসটি। তো আগেই বলে নেই, বইটি মূলত বলতে গেলে বড়দের একটি প্রেমের উপন্যাস।যেখানে দেখানো হয় একজন বালিকা কিভাবে তার কিশোরী বয়সে পরিণত হয় এবং তার মধ্যে কিভাবে প্রেম জাগ্রত হয় এসবকিছু। বইটি পড়ে পড়ে আপনি এতটাই মুগ্ধ হবেন যে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। বইয়ের সাইজ দেখে নিশ্চয়ই আপনারা আন্দাজ করতে পারতেছেন যে বইটি পড়তে ঠিক আমার কতক্ষণ লাগতে পারে।আপনি যদি উপন্যাস প্রেমী হয়ে থাকেন তবে এই বইটি পড়তে আপনার সর্বোচ্চ আড়াই ঘন্টা সময় লাগবে। আমি তো এক বসাইতেই এটা শেষ করে তারপর উঠেছি।
তো যাইহোক এখন যদি কাহিনী সংক্ষেপ এ আসি তাহলে আমি বলবো,
বইটিতে উপন্যাসের যে বৈশিষ্ট্য আছে তার সবকিছুই আছে।এখানেও অনেকগুলো চরিত্র রয়েছে।যাদের মধ্যে হলো যিনি গল্পের নায়ক অর্থাৎ,অলক। তার দুই বোন মধুরা এবং প্রিয়াঙ্গি। যারা কিনা দুইজনেই যথেষ্ট মেধাবী এবং খুবই ভালো গুণে কিংবা প্রতিভার অধিকারিনী।রয়েছে অলকের পিতা সত্যকাম এবং মাতা মনীষা। এই গল্পে সত্যকাম এবং মনীষা দুইজনেই কালচারাল লাইনের লোক।কেউ নাটকের সাথে যুক্ত আবার কেউ নৃত্যনাট্যের সাথে যুক্ত। আরো চরিত্রের মধ্যে