শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০

127 Hours! (Movie Review in Bangla)

Movie: 127 Hours!

  • প্রধান চরিত্রঃ জেমস ফ্রানকো ( আরন রালস্টন)
  • কেট মারা(ক্রিস্টি)
  • অ্যাম্বার টাম্বলাইন( মেগান)
(মুভিটি একজন সত্যিকারের পর্বতারোহী আরন রালস্টন সম্পর্কে। যিনি কিনা একটা গিরিখাদের ফাঁদ থেকে নিজেকে জীবিত বের করতে সক্ষম হয়েছেন)
127 Hours movie Poster! 
Image Copyright:IMDB
২০০৩ সালে আরন রালস্টন ছিলেন একজন পর্বতারোহী এবং একজন অতিমাত্রায় খেলাধুলায় আসক্ত ব্যাক্তি। যিনি একসপ্তাহন্তে উটাহ্ এর ব্লু জন ক্যানিয়নে হাইকিং এ বেরিয়েছিলেন। তিনি কোথায় যাচ্ছেন তা কাউকে জানান নি। তারকাছে কোন মোবাইল ফোনও তখন ওই সময়ে ছিলোনা যে তিনি কারো সাথে যোগাযোগ করবেন। তার প্রিয় সাইকেল নিয়ে তিনি বেরিয়ে পরলেন এবং পথিমধ্যে তার সাথে ক্রিস্টি এবং মেগানের সাথে দেখা হয়।তারা তাদের গন্তব্য হারিয়ে ফেলেন। রালস্টন তাদের কে তাদের গন্তব্য ডোমে নিয়ে গেলেন যেখানে বলতে গেলে তিনি একজন গাইড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এরপর সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে ক্রিস্টি এবং মেগান জানান যে তারা একটা পার্টিতে এটেন্ড করবে যেটা হচ্ছে গ্রিন নদীর তীরে। তারা রালস্টনকে যাওয়ার জন্য অফার করে কিন্তু রালস্টন সেটা রিফিউজ করে এবং সে গিরিখাতে আরোহন করার জন্য যাত্রা শুরু করে। গিরিখাতে আরোহনের সময়ই তারসাথে নিয়তির খারাপ মুহূর্ত শুরু হয়।
হাঠাৎ এক বিশাল পাথরের সাথে হাত লেগে সে পাথরটি সহ মূহুর্তেই নিচে পড়ে যায় এবং ওই একই পাথরের সাথে তার এক হাত এমনভাবে আটকে যায় যে সেটা পরে ওই গিরিখাদেই তাকে নিজের হাত নিজেকেই কনুইয়ের উপরে কেটে ফেলতে হয়। ওই হাতটি যখন আটকে যায় খিরিখাদে তখন তিনি নিজেকে কিভাবে সেখানে টিকিয়ে রেখেছেন তা নিয়েই মূলত এই '১২৭ ঘন্টা'।
ঘটনাটি শুরু হয় শনিবারে।ওই সময়ে তিনি নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য তার খাবার পানিকে কাজে লাগিয়েছেন সাথে তার ত্যাগকৃত ইউরিনকেও তিনি ব্যবহার করেছেন পানীয় হিসেবে। রালস্টনের পকেটে থাকা ছোট একটা ছুরি যেটা কিনা পরবর্তীতে তিনি তার নিজের হাতকে কাটতে ব্যবহার করেন। ওই ছোট ছুরি দিয়ে তিনি অনেক চেস্টা করেছেন এটার জন্য যে, যদি কোনভাবে পাথর খুঁটিয়ে নিজের হাতটাকে আটকে পড়া থেকে বাঁচাতে পারেন। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনি নিজেকে নানাভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য। তিনি কল্পনায় সবার সাথে যোগাযোগ করেছেন,মা-বাবার সাথে কথা বলেছেন,কখনো খেলার মাঠে তো কখনো সুইমিংপুলের মধ্যে নিজের অস্তিত্বকে খুঁজে নিয়েছেন।

শুধুমাত্র বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষের মনের জোরই কিংবা ইচ্ছাশক্তিই হলো সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
Personal Rating: 7/10
©Ananda Mohan Shil

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank you for your valuable comment.